সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই-আগষ্টে শহীদদের ছাড়া আর কারো প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। কালের খবর পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল কাসাভা। কালের খবর চবি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব ঢাকা এর সভাপতি ব্যারিস্টার ফারুকী এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক স্বপন নির্বাচিত। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন। কালের খবর সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের অন্যতম মডেল উপজেলা : আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী। কালের খবর মাটিরাঙ্গার গুমতিতে মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসে বিএনপির শোভাযাত্রা ও পুষ্পস্তবক অর্পণ। কালের খবর মুরাদনগরে সামাজিক সংগঠনের শীতের কম্বল বিতরণ। কালের খবর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ‘স্বাধীনতা সোপানে’ শ্রদ্ধা নিবেদন। কালের খবর জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন। কালের খবর
সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। কালের খবর

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। কালের খবর

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গত ১৫ মাসে মোট তিন দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি লাভ করায় প্রথম দুবারই সেই উদ্যোগ বাস্তব রূপ লাভ করেনি।

সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এ দফায়ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা, তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। কারণ করোনা সংক্রমণের হার এখন প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে। সরকার চাচ্ছে ন্যূনতম সিলেবাসের ওপর শ্রেণিকাজ শেষেই পরীক্ষা নিতে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে রাখছে সরকার। এসএসসির প্রস্তুতি শেষ হয়েছে, এইচএসসির ক্ষেত্রে প্রশ্ন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে, তা কেউ বলতে পারছে না।

এমন যদি হয়, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলেই প্রতীয়মান হয়। পরীক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। টেনশনে আছেন শিক্ষক ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও। ওদিকে উভয় সংকটে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সমালোচনার আশঙ্কায় গত এইচএসসির মতো এবারের পরীক্ষার্থীদের ‘অটোপাশ’ দেওয়া যাচ্ছে না, আবার করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঝুঁকি রয়েছে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৬০ দিন এবং এইচএসসিতে ৮৪ দিন ক্লাসের পর পরীক্ষা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্লাসই বা কখন শেষ হবে? কাস্টমাইজড (পুনর্বিন্যাসকৃত) সিলেবাসের ওপর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আগে শহর এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছিল, এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে মফস্বলে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়, কারণ এ দুই স্তরে রয়েছে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী। এমতাবস্থায়, এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা কীভাবে এবং কখন নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিষয়টিতে দেশের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকসহ সমাজের সচেতন মহলের পরামর্শকে আমলে নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণের কবল থেকে মুক্ত থাকতে হবে যেমন, তেমনি তাদের শিক্ষাজীবনের স্বাভাবিক গতিও ফিরিয়ে আনতে হবে। এ দুয়ের সমন্বয় কীভাবে করা যায়, সেটাই এখন ভেবে দেখতে হবে সংশ্লিষ্টদের।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com